যুক্তরাজ্য সরকার গৃহহীনদের বড় শহর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে
যুক্তরাজ্য সরকার গৃহহীনদের বড় শহর থেকে সরিয়ে নিচ্ছে

গৃহহীন পরিবারগুলোকে বড় শহর থেকে দূরবর্তী শহরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাজ্যে। এই পদক্ষেপের আওতায় স্থানীয় কাউন্সিলগুলো কোটি কোটি পাউন্ড ব্যয় করছে পুনর্বাসন কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারদের সস্তা ভাড়ার এলাকায় পাঠাতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লন্ডন ও বার্মিংহামের মতো বড় শহরগুলো থেকে এসব পরিবারকে প্রায়শই কম সময়ের নোটিশে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে এই কাজের জন্য ৫.২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে।
এসব পুনর্বাসন কোম্পানি সস্তা ভাড়ার ঘর খুঁজে বের করে। যেখানে গৃহহীন পরিবারদের নতুনভাবে বসবাস শুরু করতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম সহায়তা বা পূর্ব পরিকল্পনার অভাব দেখা গেছে।
পরিবারগুলোর অভিযোগ, তাদের প্রায়ই অপরিচিত এলাকায় পাঠানো হয়। যেখানে কোনো সামাজিক পরিচিতি বা নেটওয়ার্ক নেই। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে তাদের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে জরুরি আশ্রয় হারানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতিকে “সামাজিক পরিচ্ছন্নতা” এবং “জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি” বলে অভিহিত করেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের শ্বেতাঙ্গপ্রধান এলাকায় স্থানান্তরিত করার ঘটনাও উঠে এসেছে।
স্থানীয় সরকারগুলোর তহবিল কমে যাওয়া, সস্তা আবাসনের অভাব এবং গৃহহীনতার হার বাড়ার ফলে এই সংকট আরও জটিল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকাল হাউজিং এলাউন্সের হার বাড়ানো হলে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে।
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার সম্প্রতি কাউন্সিলগুলোকে এমন অপ্রত্যাশিত স্থানান্তর বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, সরকার ২০২৬ সাল পর্যন্ত হাউজিং এলাউন্স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা রাখেনি