দরিদ্র রিক্সা চালকের ছেলে মেডিকেল ভর্তি অনিশ্চয়তা

দরিদ্র রিক্সা চালকের ছেলে মেডিকেল ভর্তি অনিশ্চয়তা
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার দরিদ্র নিরব আলী মেডিকেল ভর্তি হওয়া নিয়ে সংশয়। উপজেলা সরদহ ইউনিয়নের পূর্ব বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের রিক্সা চালক মিজানুরের বড় ছেলে নিরব। পরিবারের দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ৫সদস্যের পরিবার। দীর্ঘদিন যাবত দেশের রাজধানী ঢাকা শহরে রিক্সা চালিয়ে কোন মতে দিন যাপন করছে এই পরিবার।
পরিবারের পক্ষে নিরবের “মা” বলেন, অভাব অনটনের কারনে ছেলেকে ঠিকমতো খাবার দিতে পারেন নি। কষ্টকে বুকে জমা রেখে তার ছেলে পড়ালেখা করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্ত অর্থের অভাবে ভর্তি করায় এখন অনিশ্চয়তা।
নিরবের ছোট চাচা সেলিম বলেন, সে পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বুঝে না। এই আধুনিক যুগে সে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাইনি। তার বয়সে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কম্পিউটার, মোবাইল কেনার কখনও সুযোগ হয়ে উঠেনি। বর্তমান তার কাছে স্মার্ট ফোন তো দুরের কথা একটি বাটন ফোনও নেই। তার এই ভর্তি হওয়ার আনন্দ মুহুর্তে প্রতিবেশিদের মিস্টি বিতরণও করতে পারেনি এই পরিবার। আগামী ফেব্রুয়ারীতে তার মেডিকেল ভর্তি। কিন্ত অর্থের অভাবে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের সকলে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোহেল হোসেন বলেন, অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে নিরব। সে সরদহ সরকারী মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে জিপিএ৫ পেয়ে ২০২৪ সালে উর্ত্তীণ হয়েছে। কিন্ত অর্থ সংকটে ভর্তি প্রায় অনিশ্চিত। পরিশেষে তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরবের সহযোগতিার বিষয়ে আলোচনা করবেন। পরিশেষে তিনি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, নিরবের বিষয়ে তিনি জানেন। দরিদ্রতা একজন মেধাবিকে হার মানিয়ে দিবে তা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি যথাসাধ্য নিরবের মেডিকেল ভর্তির চেষ্টা করবেন। ওই সময় স্থানীয়দেরও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান করেন ইউএনও।