গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল, তবু হামলা অব্যাহত

মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে গাজা উপত্যকা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তেল আবিবের বাহিনী, এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি।
ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, ইসরায়েল গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে সেনা সরাবে। সোমবার হোয়াইট হাউজ প্রকাশিত এক মানচিত্রে সেই অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিলে সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ বন্ধ হবে এবং বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তবে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারের পরও গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা বন্দি সব ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, এমনকি নিহত জিম্মিদের মরদেহও ফেরত দেবে। বিনিময়ে তারা চায় পূর্ণ হামলা বন্ধ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।
কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন। শনিবার (৪ অক্টোবর) গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে বোমা ও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজার চিকিৎসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন শিশু। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় গাজা সিটি ও তুফফাহ এলাকায়, যেখানে একটি ভবনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, মিশরে সোমবার ইসরায়েল, হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার আলোচনায় যোগ দেবেন।