গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার ২ বছর, নিহত ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি

দুই বছর পেরিয়েও রক্তক্ষয় থামেনি গাজায়। আজ ৭ অক্টোবর, হামাস ও ইসরায়েলের সংঘাতের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। ২০২৩ সালের এই দিনে হামাসের আকস্মিক আক্রমণে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের। এরপর থেকে প্রতিদিনই চলছে মৃত্যু ও ধ্বংসের মিছিল, যার শেষ দেখা যাচ্ছে না এখনো।
মিসরের পর্যটন শহর শারম এল শেখে যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রথম দিনই নতুন করে রক্ত ঝরল গাজায়। ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় সোমবার নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন ত্রাণ ও খাদ্য সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ মানুষ।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইসরায়েল ও হামাস সম্মতি জানালেও বাস্তবে হামলা থামেনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন দাবি করলেও, গাজার স্থানীয় সূত্র বলছে, গত তিন দিনেই ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১০৪ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের সরকারি মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান এক ব্রিফিংয়ে জানান, “গাজায় আমরা এখন কেবল রক্ষণাত্মক অভিযান চালাচ্ছি।” তবে মাটির বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
এদিকে, মিসরের দৈনিক আল কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, শারম এল শেখে শুরু হওয়া বৈঠকের প্রথম পর্বে গাজার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত দুই বছরে এই যুদ্ধে ৬৭ হাজার ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন। মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে গাজা উপত্যকায়, যেখানে এখনো আশার আলো খুবই ক্ষীণ।