সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসা করছে একটি চক্র

সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসা করছে একটি চক্র
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ি তাদের সিন্ডিকেট চলমান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠ ব্যবসায়ীরা হলো ইদ্রীস আলী, রেজাউল করিম, আবু তালেব, মোস্তফা, আব্দুল লতিফ, বাদল, মজিবর মহরিসহ অনেকে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের পুঠিমারি বিদ্যালয়টি ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের বসবাস। তাদের ছোট শিশুদের এই বিদ্যালয় পাঠদান ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাও আবশ্যক। কিন্ত দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপশক্তির কারনে এই মাঠের একাংশ বিদ্যালয় ব্যবহার করতে পারছে না। জমি প্রতিষ্ঠানের হলে দখলে কাঠ ব্যবসায়ীদের।
বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের একটি বিষয় থাকে। কমলমতি শিশুরা নিরাপদ ভাবে খেলতে পারছেনা। বিদ্যালয়ের কোন নিরাপদ সীমানা প্রাচীর নেই। সম্প্রতী সরকারী বরাদ্দ এসেছে যা দিয়ে সীমান প্রাচীর নিমার্ণ করা হবে। কিন্ত কাঠ ব্যবসায়ীদের জমি দখলে কারনে কোন ভাবেই দেয়াল নিমার্ণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জমিদাতা, বিদ্যালয়ের প্রধান ও শিক্ষা অফিস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাঠ ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপ। কাঠ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন যানবাহন যোগে নানা প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে এসে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গন ব্যবহার করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ফাকা জমিটি সরকারী। যার কারনে তারা কাঠের ব্যবসার কাজে ব্যবহার করছে। তারা বিদ্যালয়ের জমি দখল করেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাপিয়া খাতুন বলেন, এবিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ীদের বহুবার বলা হয়েছে কিন্ত তারা কোন মতে কর্ণপাত করছে না। যারকারনে কমিটির সভাপতি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও)মামুনুর রশিদ, জমিদাতাসহ ইউএনওকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই বিদ্যালয়ের মোট জমি রয়েছে ২০৭ শতাংশ। তবে দীর্ঘ সময় জমির খাজনা না দেওয়ার কারনে ৭১ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে চলে যায়। বর্তমান বিদ্যালয়ের ১৩৫ শতক জমির দলির ও রেকর্ড আছে। এই প্রতিষ্ঠানের ২৬ শতক জমির মাঝ দিয়ে সরকারী ভাবে পাকা সড়ক নিমার্ণ করা হয়েছে। অপরদিকে মাঠের বেশ কিছু জমি দখল করে কাঠের ব্যবসা করছে একটি চক্র। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীদের ১৫দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের জমি দখল মুক্ত করার আদেশ দেন। কিন্ত ২মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও তারা জমি দখল মুক্ত করেনি।