জামায়াত ও এনসিপির যৌথ মিছিল থেকে সোহাগ হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় মহিনকে জামায়াত ও এনসিপির একটি যৌথ মিছিলে “চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই!” স্লোগান দিতে দেখা যায়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মহিনের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এরপর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার তৎপরতায় রাজনৈতিক মিছিলে তাকে শনাক্ত করা হয়। মহিনকে গ্রেপ্তারের সময় জামায়াত ও এনসিপির কয়েকজন কর্মী বাধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মহিন আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ আরও জানায়, এই মামলায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামি মহিন, তারেক রহমান রবিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও একটি কংক্রিট বোল্ডারও জব্দ করা হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, সোহাগের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাসিক চাঁদা দাবি করছিল মহিন ও তার সহযোগীরা। সোহাগ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভের বিস্তার ঘটে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ কর্মচারীরা নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন।