আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি, যার নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পেরিয়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। দিবসটি উপলক্ষে দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ কেবল একটি দল নয়, বাঙালির জাতীয় জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দলটির নেতৃত্বেই মাতৃভাষার অধিকার, ভোটাধিকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার এবং সর্বোপরি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার অর্জিত হয়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দলটির উপর চালিয়েছে নির্মম দমন-পীড়ন। কিন্তু প্রতিবারই সংগ্রামী জনতার রক্ষাকবচ হিসেবে দৃঢ়ভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ, অধিক শক্তি ও জনসমর্থন নিয়ে ফিরে এসেছে।
দিবস উপলক্ষে দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও সংগ্রামী অভিবাদন জানান। তিনি মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দলের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও অসাম্প্রদায়িক, জনকল্যাণমূলক রাজনীতির উত্তরাধিকার স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ১৯৭১-এর পূর্ববর্তী ইয়াহিয়া খানের দমননীতির সাথে তুলনা করে বলেন, "একটি অসাংবিধানিক সরকার আমাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও লক্ষ লক্ষ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। এটি গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।" তবে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "অতীতের মতো এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে রাহুমুক্ত করবে। বঙ্গবন্ধুর সাহস ও বিচক্ষণতাই আমাদের অস্ত্র।" তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাহস না হারানোর আহ্বান জানান।