যেসব দেশে বিয়েতে অনীহা সবচেয়ে বেশি

সময় বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে মানুষের সম্পর্কের ধারণাও। এক সময় বিয়ে ছিল জীবনের অপরিহার্য অংশ, কিন্তু আজ অনেক দেশে সেটি আর অগ্রাধিকারে নেই। দ্য ইকোনমিস্টের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের বহু দেশে প্রতি হাজারে বিয়ের হার এখন ঐতিহাসিকভাবে কমে গেছে।
অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, কর্মজীবনের ব্যস্ততা এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন মানুষকে প্রথাগত বিবাহ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষত ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে লিভটুগেদার ও সিভিল পার্টনারশিপ এখন বিয়ের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে।
লাতিন আমেরিকার কোস্টারিকা, পানামা, মেক্সিকো ও চিলিতে বিয়ের হার হাজারে ৩ দশমিক ৩ থেকে ৩ দশমিক ৮। আর্জেন্টিনা (২.৯) ও উরুগুয়ে (২.৮) মতো দেশগুলোতেও আনুষ্ঠানিক বিয়ের চেয়ে সহবাসের সম্পর্ক বেশি স্বীকৃতি পাচ্ছে।
ইউরোপেও একই চিত্র—নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও গ্রিসে বিয়ের হার ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৬। ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে হার আরও কম, মাত্র ৩ দশমিক ১। ফ্রান্সে “প্যাক্স” নামের আইনি চুক্তি অনেক দম্পতিকে বিয়ের বাইরে থেকেও সম্পর্কের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭) ও কুয়েত (৩.৫)-এও বিয়ের হার নিচের দিকে। সবচেয়ে কম হার কাতারে—মাত্র ১ দশমিক ৪, যেখানে প্রবাসী শ্রমিক ও উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় বিয়ে বিলম্বিত করছে।